মোবাইল ও সাংবাদিকতা
তথ্যপ্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে সব। খুব সকালে গরম চায়ের কাপের সঙ্গে পত্রিকা পড়ার গল্পটা সেকেলে হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। নিউমিডিয়া আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পালটে দিচ্ছে মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির প্রচলিত পাঠক-মালিক-সাংবাদিক সম্পর্কের ধারণা। সংবাদ তৈরি আর বিতরণে মিডিয়া কোম্পানিকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। করপোরেট কনগ্লুমারেট জার্নালিজমকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাজারে এসেছে উদ্যোক্তা সাংবাদিকতার ধারণা। সাংবাদিকতা শিল্পে আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অল্প পুঁজিতে তৈরি করছে অনলাইন পত্রিকা। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে বৈশি^ক তথ্যগ্রামে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন গণমাধ্যম। সাংবাদিকতার প্রচলিত আদল ভেঙে আমরা ঢুকে পড়েছি নাগরিক সাংবাদিকতার যুগে। কোনো এক নাগরিক সাংবাদিকের মুঠোফোনে তোলা ভিডিওচিত্র নিয়ে হইচই পড়ে যাচ্ছে পৃথিবীজুড়ে। ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাস হয়ে উঠছে সংবাদপত্রের লিডস্টোরি।
বিখ্যাত পরিসংখ্যানবিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিস্টা জানাচ্ছে, ৩.৩ বিলিয়ন মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪২.৬৩ শতাংশ। হ্যাঁ, আর এই স্মার্টফোন ইউজাররাই হয়ে উঠছেন নতুন যুগের সাংবাদিক। কনটেন্ট নির্মাতা। যাদেরকে ২০১৫ সাল থেকে ‘মোজো’ নামে অভিহিত করে পোর্ট মেয়ারস নিউজ প্রেস নামের গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান। সাধারণত স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট পিসির মতো ইলেকট্রনিকস প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংবাদ সংগ্রহ, সম্পাদনা ও প্রচারের কাজ করাকেই আমরা মোবাইল সাংবাদিকতা হিসেবে অভিহিত করছি। নিকোলে মালায়ারভ বিখ্যাত অনলাইন পত্রিকা ‘মিডিয়াম’-এ প্রকাশিত এক প্রবন্ধে জানান, ২০২০ সাল নাগাদ বিশ^ব্যাপী মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা গিয়ে ঠেকবে ৫.৫ বিলিয়নে। আর এই জনগোষ্ঠীর প্রায় বেশির ভাগ সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকবেন দিনের অনেকটা সময়। মূলত এরাই নির্ধারণ করে দিচ্ছেন সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ। কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে যেমন, কনজিউমার হিসেবেও তেমন। আর এ কারণেই মোবাইল সাংবাদিকতা নিয়ে সারা পৃথিবীতে নতুন করে ভাববার, কাজ করার পরিসর তৈরি হয়েছে। এই প্রবন্ধে আমরা বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল সাংবাদিকতার নানা দিক নিয়ে কথা তুলতে চাই। পাশাপাশি একজন নাগরিক সাংবাদিক কিংবা গণমাধ্যম শিক্ষার্থী বা কর্মী হিসেবে আপনি কীভাবে মোবাইল সাংবাদিক হিসেবে বেড়ে উঠতে পারবেন, এ ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনাও এগিয়ে নিতে চাই।
মূলত সারা পৃথিবীতেই মোবাইল প্রযুক্তিনির্ভর সাংবাদিকতার চর্চা একই সঙ্গে নাগরিক সাংবাদিকতা ও প্রচলিত গণমাধ্যমের সাংবাদিকতার চর্চার জায়গায় বড়োসড়ো পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। সেটা যেমন কনটেন্ট তৈরি ও পরিবেশনে, তেমনি আয়োজনে। মোবাইলের মাধ্যমে একজন সাধারণ নাগরিক বহনযোগ্য ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করে এবং ইন্টারনেটের সহায়তায় সংবাদ তৈরি ও সম্পাদনা করে নিজের কমিউনিটিতে যেমন দ্রুত একটি ঘটনা বা সংবাদকে পৌঁছে দিতে পারছেন, তেমনি একজন মূলধারার গণমাধ্যমকর্মী মোবাইল প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে মফস্বলে বসে সংবাদ ঘটনার সরাসরি সম্প্রচার, জরুরি ছবি ও ফুটেজ পাঠাতে পারছেন কম খরচে। মোবাইল সাংবাদিক যে কেবল মোবাইল ব্যবহার করেই সাংবাদিকতা করবেন, এমনটা মোটেই নয়। অনেক সাংবাদিক স্মার্টফোন ব্যবহারের পাশাপাশি ডিএসএলআর ব্যবহার করছেন, তবে স্মার্টফোনকেই মোবাইল সাংবাদিকতার প্রাণ হিসেবে বিবেচনা করছেন বোদ্ধারা, যার মাধ্যমে রেডিও, পডকাস্ট থেকে শুরু করে টেলিভিশন, তথ্যচিত্র ও সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ভিডিও তৈরি হয়ে থাকে।
আয়ারল্যান্ডের আরটিই নেটওয়ার্কের ইনোভেশনস প্রধান গ্লেন মালক্যাহি স্মার্টফোন ব্যবহার করে ভিডিওধারণ, সম্পাদনা, লেখা এবং প্রকাশ করার প্রক্রিয়াকে মোজোর ‘শুদ্ধতম ধারণা’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেন। তার মতে, মোবাইল সাংবাদিকতার উদ্দেশ্য হলো, মানুষকে এমনভাবে ক্ষমতায়িত করা, যাতে সাধারণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো ভিডিও স্টোরি তৈরি করতে পারেন। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক সাংবাদিক, লেখক এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত টেলিভিশন প্রোডিউসার ইভো বুরামের মতে, মোজো হচ্ছে দক্ষ ডিজিটাল স্টোরিটেলিং এবং টুলসের এমন সমন্বয়, যা প্রাথমিক ইউজার জেনারেটেড কনটেন্ট (ইউজিসি) থেকে একটি পরিপূর্ণ ইউজার জেনারেটেড স্টোরির (ইউজিএস) জন্ম দেয়।
কেন মোবাইল সাংবাদিকতা
ভিডিও জার্নালিজম, রেডিও সাংবাদিকতা, ফটোগ্রাফি, তথ্যচিত্র তৈরি, ইনফোগ্রাফিক্স তৈরি, নিউজ লেখা, ই-মেইল করা, যার যার প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সার্ভারে সম্পাদিত ফুটেজ আপলোড করা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট বা নিউজ শেয়ার করা- যাবতীয় কাজ করা যায় এই স্মার্টফোনে। এসব কারণেই দিনকে দিন মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয় হচ্ছে স্মার্টফোনের চর্চা।
বাংলাদেশের দিকে তাকান। একজন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট যখন একটি সংবাদ কাভার করতে বের হন, সে এক মহা আয়োজন। বিশাল ক্যামেরা, তার সঙ্গে এক বা একাধিক ক্যামেরা পারসন, ভারী ট্রাইপড, একগাদা তার, সাউন্ড ডিভাইস, বুম আর সঙ্গে গাড়ি তো আছেই। কিন্তু এই জায়গাটা একটু একটু করে ভেঙে দেবে মোবাইল সাংবাদিকতা। মোবিলিটির প্রশ্ন আছে, আছে অ্যাফোর্ডোবিলিটির প্রশ্ন। দ্রুত, তাৎক্ষণিক, ব্রেকিং নিউজ করার জন্য এখন বিশ^জুড়ে মোবাইলকেই সবচেয়ে ভালো টুলস হিসেবে বিবেচনা করছে নিউজরুম। পাশাপাশি সাংবাদিকতায় মোবাইলসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক টুলসের সহজ বহনযোগ্যতা মোবাইল সাংবাদিকতাকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলছে। এছাড়া খুব ভারী ও বড়ো রিপোর্টিং টুলসের (ক্যামেরা) তুলনায় মোবাইল ভিড়ের মধ্যে সাংবাদিকের ঝুঁকি যেমন কমায়, তেমনি ভিড়ের মধ্যে খুব কাছ থেকে ফুটেজ সংগ্রহ করার সুযোগ করে দেয়। আমাদের চ্যানেলগুলো এখনো যেখানে HD ফুটেজ ব্যবহার করছে বড়ো বড়ো টেলিভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করে, সেখানে ভালো মানের স্মার্টফোন একজন সাংবাদিককে 4K মানের ফুটেজ দিচ্ছে খুব সহজে। এছাড়া মোবাইলের মাধ্যমে যখন-তখন রিয়েল টাইমে লাইভ স্ট্রিমিং করা এখন যতটা সহজ, তা ১০ বছর আগেও ছিল কল্পনাতীত। বিশ^জুড়ে কনভারজেন্স জার্নালিজমের কথা হচ্ছে। সাংবাদিকতার এই নতুন ধারণার হাওয়া এসে লেগেছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও। দৈনিক পত্রিকা সারাদিনের সেরা সংবাদ নিয়ে পরের দিন পাঠকের হাতে পৌঁছুচ্ছে ঠিকই; কিন্তু নতুন যুগের সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জের কারণে তাকে একটি অনলাইন করতে হচ্ছে। সেখানে প্রতিমুহূর্তে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে পাঠকের জন্য প্রকাশ তো হচ্ছেই, তেমনি অনেক সময় ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিডিও শেয়ারের বিষয়টি ঘটছে নিয়মিত। আর এসব বিষয় মাথায় রেখেই মোবাইল সাংবাদিকতা অপরিহার্য হয়ে উঠছে।
সাধারণত স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা পছন্দের অ্যাপ দিয়ে ছবি বা ভিডিও তৈরি, সামাজিক যোগাযোগের সাইট ভিজিট করা অথবা ইন্টারনেটে দ্রুত বার্তা আদানপ্রদান ও কথা বলার কাজ করে থাকেন। এছাড়া স্মার্টফোনের সাহায্যে আজ গণমাধ্যমের সংবাদ জানার কাজ আগের চেয়ে অনেক সহজতর হয়েছে। পশ্চিমা বিশে^র নামিদামি গণমাধ্যমের বার্তাকক্ষে সংবাদ পৌঁছে দিতে স্মার্টফোন নিয়মিত ব্যবহৃত হচ্ছে। বিবিসি তাদের প্রযুক্তিবিষয়ক অনুষ্ঠান ক্লিকসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের পুরোটাই ধারণ ও সম্পাদনার কাজ করেছে স্মার্টফোনের মাধ্যমে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে টেলিভিশন মোবাইলের সবটুকু সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত অনেক টেলিভিশন সংবাদকর্মী ইদানীং বিভিন্ন ঘটনার ফুটেজ তাদের স্মার্টফোনে ধারণ করেন। এমনকি অনেকক্ষেত্রে সরাসরি সম্প্রচার করার কাজটিও সাংবাদিকরা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে স্মার্টফোনের মাধ্যমে করতে শুরু করেছেন। এই চর্চা যেমন গণামাধ্যম প্রতিষ্ঠানের খরচ কমিয়ে দিচ্ছে, তেমনি এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের সংবাদ সংগ্রহ ও প্রেরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমাদের গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদেরও মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন ঘটনার সংবাদ, ছবি ও ভিডিও গ্রহণে আগ্রহী করে তুলতে পারেন। এটা করতে পারলে গণমাধ্যমে রিয়েল টাইমে আরও সংবাদ ফুটেজ আসবে, যা সাংবাদিকতার চর্চাকে বৈচিত্র্যের দিকে নিয়ে যাবে। আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখেছি, যেখানে সাধারণ জনগণ ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করেছেন, আর তার পরপরই সেটি হয়ে উঠেছে টক অব দ্য টাউন!
মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিকে তার প্রয়োজনেই মোবাইল সাংবাদিকতার দিকে ঝুঁকতে হবে। নিজের কর্মীদের কাছ থেকে এখন আর কেবল সংবাদবিবরণী নয়, সঙ্গে ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ আদায়ের কাজটিও করতে হবে। এ অবস্থার বিবেচনায় গণমাধ্যমে টিকে থাকতে হলে সাংবাদিকদেরও মোবাইল ব্যবহার করে ভিডিও স্টোরি তৈরি করা জানতে হবে। সংবাদের পাশাপাশি ছবি, ভিডিও ফুটেজ পাঠাতে হবে।
কীভাবে মোবাইল সাংবাদিকতা
প্রচলিত সাংবাদিকতায় সংবাদগল্প বলার যে ধরন, একে আমূল বদলে দিতে পারে মোবাইলের ব্যবহার। মোবাইল সাংবাদিকতায় একজন গণমাধ্যমকর্মী কেবল দরকারি সোর্স থেকে তথ্য ও মতামত নিয়ে একটি সাদামাটা হার্ড নিউজ পাঠিয়ে দিলেই আর চলছে না, তাকে ভিডিও স্টোরিটেলিং বুঝতে হচ্ছে। ফুটেজ সংগ্রহ, ছবি তোলার ব্যাকরণ, ভালো অডিও নেওয়ার কলাকৌশল থেকে শুরু করে লাইটিং, সব ব্যাপারেই খুঁটিনাটি জানতে হচ্ছে। মোবাইলের মাধ্যমে সংবাদ সংগ্রহ ও সংবাদগল্প প্রস্তুতের জন্য কয়েকটি বিশেষ পদক্ষেপ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো:
১. পরিকল্পনা: মোবাইল ফোনের ব্যবহার করে ভালো স্টোরি বলতে হলে একজন সাংবাদিককে প্রথমে জুতসই পরিকল্পনা সাজিয়ে নিতে হবে। প্রথমত এমন একটি স্টোরি অ্যাঙ্গেল বেছে নিতে হবে, যেটি দিয়ে তিনি একটি ভালো স্টোরি পাঠক-দর্শকের সামনে হাজির করতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ সোর্স বা সংবাদ উৎস কারা হবে, সে বিষয়েও তার পরিপূর্ণ ধারণা থাকতে হবে। এছাড়া পরিকল্পনার মধ্যে আরও জরুরি যে বিষয়টি থাকতে হবে সেটি হচ্ছে, ভিডিওর মাধ্যমে কাক্সিক্ষত গল্পটি বলার যথাযথ ছক। কী কী ফুটেজ তিনি গ্রহণ করবেন, কোন কোন বি-রোলগুলো তার স্টোরিটেলিং ও সম্পাদনাকে সহজ করে তুলবে, সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে সাংবাদিককে। আর এর সঙ্গে একটা ড্রাফট স্ক্রিপ্ট তো থাকতেই হবে।
২. সংবাদ সংগ্রহ: পরিকল্পনা ধাপে সাংবাদিক তার সংবাদ উৎস ও সূত্রের যে তালিকা তৈরি করেছেন, সেগুলো নিয়ে গবেষণা করতে হবে। সোর্সদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো যাচাই করতে হবে।
৩. চিত্রগ্রহণ, স্ক্রিপ্টিং ও ভিডিও সম্পাদনা: মোবাইলে স্টোরিটেলিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এটি। একজন প্রতিবেদক তার গল্পটা মোবাইল ডিভাইস দিয়ে কীভাবে বললেন, কতটা শক্তিশালীভাবে বলতে পারবেন, সেটা নির্ভর করবে এই ধাপে তার দক্ষতার ওপর। একজন মোবাইল সাংবাদিককে ফটোগ্রাফি ও ভিজুয়াল তৈরির ব্যাকরণগুলো জেনে নিতে হবে, জেনে নিতে হবে শট ডিভিশনের নানা বিভাজন। তিনি তার গল্পটি কীভাবে সাজাবেন, কী কী ধরনের, কোন কোন অ্যাঙ্গেলে ফুটেজ ও ছবি সংগ্রহ করবেন, সে বিষয়ে তার স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। ফুটেজ সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম আলো (যদি লাগে), সে ব্যাপারে তাকে সচেতন থাকতে হবে। ফুটেজের অডিও শ্রবণযোগ্য কি না, ভিড়, হট্টগোল সামলে ভালো সাউন্ড বাইট নেওয়ার বিদ্যাটাও তাকে শিখে নিতে হবে। এর সঙ্গে স্ক্রিপ্টিং, ভিডিও সম্পাদনা, মোবাইল ফোনে ব্যবহারযোগ্য ভিডিও সম্পাদনা সফটওয়্যার ও সম্পাদনার কলাকৌশল সম্পর্কে তাকে জানতে হবে।
৪. প্রতিবেদন প্রকাশ করা: মোবাইলের মাধ্যমে মনের মতো ভিজুয়াল গল্পটি বলতে পারার পর সেটিকে প্রকাশ-প্রচারের বিষয়ে ভাবতে হবে সাংবাদিককে। যিনি টেলিভিশনে কাজ করেন, তিনি তার স্টেশনে সংবাদ প্রতিবেদনটি পাঠিয়ে দিলেই হচ্ছে। কিন্তু নাগরিক সাংবাদিককে ভাবতে হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে। কীভাবে, কোন সময়ে সংবাদটি তিনি প্রকাশ করবেন, এ বিষয়ে তার জানাশোনাও থাকতে হবে।
মোবাইল সাংবাদিক হতে চাইলে
মোবাইল ফোনের ব্যবহার করে তাক লাগানো, দর্শক আগ্রহী প্রতিবেদন তৈরির জন্য দক্ষতা আর জ্ঞানের সমন্বয় থাকতে হবে একজন সংবাদকর্মীর মাঝে। প্রথমত মোবাইল প্রযুক্তি তাকে বুঝতে হবে। এই ডিভাইসটি দিয়ে তিনি কীভাবে একটি ভালো গল্প বলতে পারেন, সে বিষয়টি তাকে জানতে হবে। সাংবাদিকতায় নিত্যনতুন ব্যবহৃত অ্যাপস, যন্ত্রপাতি সম্পর্কে সব সময় আপডেট থাকতে হবে। সাধ্যের মধ্যে কোন ডিভাইসটি তার ফুটেজকে নিউজি করে তুলবে, টেলিভিশনের কিংবা ইউটিউবের দর্শককে আগ্রহী করে তুলবে, এ সম্পর্কে জানতে হবে। ভালো সাউন্ড ডিজাইনিং, বহনযোগ্য, সাশ্রয়ী সাউন্ড ডিভাইস সম্পর্কে জানতে হবে।
মোবাইল সহযোগী যন্ত্র
মোবাইল সাংবাদিক হতে চাইলে কিছু খুব সাধারণ অথচ মৌলিক ও জরুরি ডিভাইস আপনার থাকতেই হবে। এই ডিভাইসগুলো মোবাইল সাংবাদিক হিসেবে যেমন আপনার পেশাদারিত্বকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেবে, তেমনি মোবাইলের মাধ্যমে তোলা সংবাদের ছবি ও ভিডিওকে মানসম্মত ও প্রচারযোগ্য করে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
প্রথমত, আপনি যদি একজন মোবাইল সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি ভালো মানের স্মার্টফোনের অধিকারী হতে হবে। সেক্ষেত্রে ফোন কিনতে গিয়ে আপনি যে বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবেন, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফোনটির ছবি বা ভিডিও কোয়ালিটি কেমন? ফোনের ডাটা স্টোরেজ ক্যাপাসিটি পর্যাপ্ত কি না? মোবাইল সাংবাদিকতায় অন্য যেসব ডিভাইস কিংবা হালকা প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, সেগুলো মোবাইলটিতে সহজে ব্যবহার করা যাবে কি না? আপনার বাজেটের মধ্যে সঠিক মোবাইলটি কেনার জন্য আপনি নির্দিষ্ট মোবাইল সম্পর্কে অনলাইনে যেসব ইউজার রিভিউ থাকে সেগুলো পড়ে যেমন ধারণা পেতে পারেন, তেমনি দোকানে গিয়ে মোবাইলটি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহার করেও দেখতে পারেন। এই দুটো প্রক্রিয়া আপনাকে সঠিক মোবাইলটি কিনতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। মোবাইল সাংবাদিকতা করতে মোবাইল সহায়ক বিভিন্ন ছোটোখাটো যেসব ডিভাইস সম্পর্কে আপনার জানা দরকার, নিচে সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
মোবাইলের নিরাপত্তা
মোবাইল সাংবাদিকতা করতে গেলে আপনাকে প্রথমেই আপনার ফোনের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। মোবাইলের নিরাপত্তায় আপনি যেসব ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন, সেগুলো হলো:
১. নিরাপত্তা কাভার: সাধারণত যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, তাদের অধিকাংশই নিজেদের মোবাইলের নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা কাভার বা চৎড়ঃবপঃরাব পধংব ব্যবহার করে থাকেন। এটি ব্যবহারের ফলে সংবাদের ছবি বা ফুটেজ সংগ্রহের সময় মোবাইলটি হাত থেকে পড়ে গেলেও সেটি নিরাপদ থাকবে।
২. স্ক্রিন প্রোটেকটর: মোবাইল ফোনের স্ক্রিন বেশ সংবেদনশীল। সামান্য আঙুলের ছাপ কিংবা কোনো কিছুর দাগ পড়লে সেটা চিরস্থায়ীভাবে মোবাইল স্ক্রিনে লেগে থাকতে পারে। এজন্য সাধারণত আমরা স্ক্রিন প্রোটেকটর ব্যবহার করে থাকি। মোবাইলের স্ক্রিন প্রোটেকটর আপনার ফোনের স্ক্রিন ফেটে যাওয়া কিংবা অপ্রত্যাশিত দাগের হাত থেকে রক্ষা করবে।
৩. পরিচ্ছন্ন কাপড়: সাধারণত মোবাইলের আই গ্লাস কিংবা মোবাইল ক্যামেরা লেন্সকে নিয়মিত পরিষ্কারের জন্য মোবাইল সাংবাদিক হিসেবে আপনার কাছে নরম কাপড়ের টুকরো থাকা উচিত। কোনো ঘটনা বা ইভেন্টের ছবি কিংবা ভিডিও সংগ্রহের আগে মোবাইলের ক্যামেরা লেন্সকে পরিষ্কার করে নিলে সেটা নিশ্চিতভাবে আপনাকে আরও স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন ছবি ও ফুটেজ দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
৪. পাওয়ার ব্যাংক: কারও একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে গেলেন কিংবা হঠাৎ করে কোনো ঘটনার ছবি বা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের প্রয়োজন হয়ে পড়ল; কিন্তু দেখলেন মোবাইলে পর্যাপ্ত চার্জ নেই। এ ধরনের পরিস্থিতি একজন মোবাইল সাংবাদিকের জন্য খুবই বিব্রতকর ও অপ্রত্যাশিত। এরকম পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সব সময় সঙ্গে একটি মোবাইল চার্জার কিংবা পাওয়ার ব্যাংক রাখা একান্ত দরকারি।
৫.ট্রাইপড: ট্রাইপড হচ্ছে একটি মোবাইল মাউন্টিং ডিভাইস, প্যান (ডান থেকে বামের শট), টিল্টসহ (উপর থেকে নিচের শট) স্মুথ শট গ্রহণের জন্য যার ওপর মোবাইলকে রেখে ভিডিও ধারণ করা হয়। সাধারণত ভিডিও ক্যামেরায় ট্রাইপডের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা যায়। তবে সম্প্রতি মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও গ্রহণের জন্য ট্রাইপডের ব্যবহার আবশ্যিক ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ট্রাইপড যেহেতু তিন পা (পড) বিশিষ্ট হয়, এ কারণে এটির উপর মোবাইল রেখে খুব সহজে আপনি স্মুথ ভিডিও পেতে পারেন।
ট্রাইপডের উপরের দিকে সাধারণত মোবাইলকে শক্তভাবে লাগিয়ে রাখার জন্য একটি হেড থাকে। এছাড়া হেডের নিচে প্যানিং রড নামের একটি বড়ো লাঠির মতো অংশ থাকে, যেটা ব্যবহার করে মোবাইল ফোনকে আপনি ডান থেকে বামে বা বাম থেকে ডানে ঘোরানোর পাশাপাশি উপরে-নিচেও ওঠানামা করাতে পারবেন। আর এর ফলে আপনি খুব সহজে মোবাইল দিয়েই প্যান বা টিল্ট শট নিতে পারবেন। এছাড়া ট্রাইপডে যে তিনটি পা থাকে, সেগুলো সাধারণত সিঙ্গেল ফোল্ড, ডাবল ফোল্ড ও ট্রিপল ফোল্ড হয়ে থাকে। প্রতিটি ফোল্ডারেই লেগ লক থাকে। আপনি আপনার প্রয়োজন মতো ট্রাইপডের ফোল্ডারগুলো খুলে মোবাইলকে রেকর্ডিংয়ের জন্য কাক্সিক্ষত উচ্চতায় রেখে লেগ লকগুলো আটকিয়ে দিয়ে রেকর্ডিং করতে পারবেন। এছাড়া ট্রাইপডের নিচের দিকে স্প্রেডার লাগানো থাকে। এটির মাধ্যমে আপনি ট্রাইপডকে প্রয়োজন মতো ভূমিতে ছড়িয়ে দিয়ে ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারবেন। মোবাইল সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সাধারণত খুব হালকা, বহনযোগ্য ট্রাইপড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৬. মনোপড ও সেলফি স্টিক: ট্রাইপডের পাশাপাশি মোবাইল সাংবাদিকরা মনোপডও ব্যবহার করে থাকেন। মনোপড কিংবা ট্রাইপডের ব্যবহারের উদ্দেশ্য মোটামুটি এক হলেও অনেকে সহজ বহনযোগ্যতার জন্য মনোপড ব্যবহার করে থাকেন। মনোপডে যে একটি পা থাকে, সাধারণত সেটির নিচের দিকে তিনটি স্প্রেডার থাকে। এই তিনটি স্প্রেডার ছড়িয়ে দিয়ে খুব সহজেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের কাজটি আপনি করতে পারবেন। তবে মনোপডের চেয়ে সেলফি স্টিকের জনপ্রিয়তা বেশি। সেলফি স্টিককে হাতে নিয়ে ক্যামেরা পজিশনকে আপনার পছন্দমতো জায়গায় নিয়ে সহজেই ছবি বা ভিডিও করতে পারবেন। সাধারণত ভিড়ের মধ্য থেকে একটু দূরের দৃশ্য নিতে চাইলে সেলফি স্টিক আপনার জন্য দারুণ সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে।
মোবাইল সাংবাদিকতায় অ্যাপস ও অন্যান্য
বিশ^জুড়ে স্মার্টফোন ইউজার বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিদিন বাড়ছে অ্যাপের সংখ্যা। নানা সুবিধা আর উপযোগিতা নিয়ে প্রতিদিন এসব অ্যাপ হাজির হচ্ছে আপনার কাছে। এসব অ্যাপের মধ্যে অনেক অ্যাপই আছে, যেটা মোবাইল সাংবাদিকতায় কাজে লাগতে পারে। সাংবাদিকতায় মোবাইলের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চাইলে এসব অ্যাপ ব্যবহারের বিকল্প নেই। এখন বেশির ভাগ সাংবাদিকই নোটপ্যাড নিয়ে কোনো স্টোরি কাভার করতে বের হন না। তিনি কনফারেন্স বা অন্য কোনো ইভেন্ট চলাকালীন নোট টুকে রাখার খুব জনপ্রিয় অ্যাপ ‘কালারনোট’ দিয়ে ডিজিটালি তথ্য সংগ্রহের কাজ চালিয়ে নেন। এবার সেটি অফিসে পাঠানোর জন্য ইমেইল সার্ভিস প্রোভাইডার যেমন গুগল, ইয়াহুর মোবাইল অ্যাপ দিয়ে সহজে কাজটি করে ফেলেন। মোবাইলে ধারণকৃত খুব বড়ো সাইজের ভিডিও ফুটেজ পাঠাতে হবে? সেটারও সমাধান দিয়ে দিচ্ছে মোবাইল অ্যাপস। গুগল প্লে স্টোরে আপনি অনেক অ্যাপ পাবেন, যেটা দিয়ে বড়ো বড়ো ফাইল সহজেই মোবাইল দিয়ে পাঠাতে পারছেন। এছাড়া ছবি সম্পাদনা, ভিডিও এডিটিংসহ যাবতীয় সব কাজ মোবাইলে করার জন্য দারুণ সব অ্যাপ আছে গুগল প্লে স্টোরে।
একজন সাংবাদিক ছবি তোলা ও সম্পাদনার জন্য যেসব অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, এর মধ্যে ¨ Pro Camera: (iOS) , Snapseed (iOS/Android), ProShot (iOS/Android), VSCO (iOS/Android) প্রভৃতি অন্যতম।
ভিডিও রেকর্ডিংয়ের জন্য কার্যকরী অ্যাপগুলোর মধ্যে Filmic Pro (iOS/Android), Open Camera (Android only), Cinema 4K (Android only), Cinema FV-5 (Android only), Lapse it (iOS / Android) প্রভৃতি অন্যতম।
ভিডিও সম্পাদনার জন্য LumaFusion (iOS only), KineMaster (iOS/Android), PowerDirector (Android only), Alight Motion (Android), iMovie (iOS only) প্রভৃতি অন্যতম। এগুলো মূলত মাল্টি ট্র্যাক ভিডিও এডিটিং অ্যাপস। এছাড়া আরও সহজ কিছু ভিডিও অ্যাপ রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে Quik (iOS/Android), Animoto (iOS/Android), Apple Clips (iOS), Splice (iOS), Enlight VideoLeap (iOS), CuteCut (iOS/Android), Movie Maker (Android), Vlogit (iOS/Android) ইত্যাদি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
ভিডিও ফুটেজে সাব-টাইটেল ক্যাপশন ও লোগো বসানোর জন্য আলাদা কিছু অ্যাপ আছে। যেগুলোর মধ্যে Phonto (iOS/Android), Vont (iOS), DIY Subtitle (iOS), Movie Maker (Android), Autocap (Android) প্রভৃতি অন্যতম।
একজন মোবাইল সাংবাদিকের জন্য স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সংগ্রহের পাশাপাশি অডিও রেকর্ডিং ও এডিটিংয়ের কাজটাও দারুণ জরুরি। আপনি প্রাথমিকভাবে মোবাইলের মাধ্যমে অডিও রেকর্ডিংয়ের জন্য RecForge Lite (Android only) I Voice Record Pro (iOS/Android) অ্যাপ দুটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এছাড়া অডিও সম্পাদনার জন্য Ferrite (iOS), AudioEvolution Mobile Studio (Android), n-Track (Android) প্রভৃতি অ্যাপের সুনাম ও উপযোগিতা বেশ ভালো। এছাড়া টেক্সট ও ভিডিও অ্যানিমেশন, লাইভ স্ট্রিমিং প্রভৃতি কাজের জন্য দরকারি অনেক অ্যাপ আছে, যেগুলো আপনার গল্প বলাকে আরও শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় করতে সহায়তা করতে পারে।
সাংবাদিক ও প্রশিক্ষক বার্নহার্ড লিলের ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি একটি আলাদা তালিকা তৈরি করেছেন মোবাইল সাংবাদিকতায় আগ্রহীদের জন্য। সেটাও এখানে শেয়ার করা হলো সুবিধার জন্য।
সাংবাদিকতায় মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারে আপনার স্বাচ্ছন্দ্য ও সাবলীলতাই শেষকথা। আপনি যে প্ল্যাটফর্মে, যে অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার প্রতিবেদনটি সঠিকভাবে তৈরি করতে পারেন, নিয়মিত কাজের জন্য সেটাই বেছে নেবেন।
সাংবাদিকতায় স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়াতে চাইলে, হয়ে উঠতে চাইলে একজন পুরোদস্তুর মোবাইল সাংবাদিক, আপনাকে মোবাইলের উপরিউক্ত প্রযুক্তিগুলো আয়ত্ত করতে হবে। একটি সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ার আগে সংবাদ সংক্রান্ত তথ্যগত বিভিন্ন সোর্স ও বিষয়াদি সম্পর্কে সচেতন থাকার পাশাপাশি আপনার মোবাইল ফোনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন টুলস ও প্রয়োজনীয় বহনযোগ্য যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক আছে কি না, সেগুলো দেখে নিতে হবে। ভালো পরিকল্পনা, সচেতন প্রস্তুতি, প্রয়োজনীয় দক্ষতা আপনাকে আপনার স্মার্টফোন দারুণ সব রিপোর্ট তৈরির সুযোগ করে দিতে পারে। বদলে দিতে পারে সাংবাদিক হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার।
লেখক: নাসিমূল আহসান, সহকারী প্রশিক্ষক, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)